মোঃ মেহেদী হাসান (পটুয়াখালী) কলাপাড়া প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপকে  হত্যার ঘটনায় চারদিন পেরিয়ে গেলেও জড়িত ঘাতকদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাই দ্রুত ঘাতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে কলাপাড়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯জুন) বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাব চত্বরে কলাপাড়া সাংবাদিক ক্লাবের উদ্দ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি নীল রতন কুণ্ডুর নিলয় সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক সভাপতি মেজবাহউদ্দিন মাননু, সাধারণ সম্পাদক এস এম মোশারফ হোসেন মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেছারউদ্দিন আহমেদ টিপু, সাংবাদিক গোফরান বিশ্বাস পলাশ, রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি এসকে রঞ্জন, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নুরুল আমিন, সাংবাদিক রাসেল কবির মুরাদ, রাসেল মোল্লা, ওমর ফারুক, ইমন আল আহসান ও নিহত প্রদীপের ভাই মনিরুল ইসলাম টুটুল।
গত ৫ জুন (রবিবার) রাত ১ঃ৩০মিনিটের দিকে কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর থেকে পুলিশ প্রদীপের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৬ (জুন) রাতে নিহতের স্ত্রী জিনিয়া আক্তার প্রদীপের সেজভাই  সোহাগকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত পাঁচজনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার চারদিন পেড়িয়ে গেলেও হত্যায় জড়িত কোন ঘাতককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

নিহত  প্রদীপ কলাপাড়া সাংবাদিক ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকায় কলাপাড়া উজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। এ নিয়েও পার্টনারদের সাথে বিরোধ চলছিল প্রদীপের। এছাড়া পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে প্রদীপের সেজভাই সোহাগের সাথে বিরোধ চলছিলো গত ঈদের পর থেকে।

ঘটনার রাতে সোহাগের সাথে কথা বলতে বলতে বাসা থেকে বের হন প্রদীপ। রাতে তার মৃত্যুদেহ বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ সোহাগ। তাই ধারণা করা হচ্ছে, প্রদীপকে হত্যার পর পালিয়েছেন তিনি। প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, প্রদীপ হত্যায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। একইসাথে এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ অনুসন্ধানেরও দাবি করেন তারা।